শরিয়তপুরে পাসপোর্ট করাতে এসে রোহিঙ্গা সন্দেহে আনসার সদস্যের হাতে নারী আটক,দেওয়া হলো পুলিশে
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৭:২২ বিকাল
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করাতে এসেছিলেন আছিয়া বিবি (২৮) নামের এক নারী। তবে প্রবেশপথে আনসার সদস্যের প্রশ্নের ভাঙা ভাঙা বাংলায় মুখে কথা বলেছিলেন।পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হলে পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয় ওই নারীকে।
পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ওই নারী নিজেকে আছিয়া বিবি নামে পরিচয় দিয়েছেন। তার বাবা আলী জোহার, মা আম্বিয়া খাতুন। তিনি আরও জানান, তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে।রোববার বিকেলে আছিয়া নামের ওই নারী পাসপোর্ট করার জন্য একটি আবেদন ফরম নিয়ে শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় প্রধান ফটকে দায়িত্বরত আনসার সদস্য সেলিম শেখ তার নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছিলেন না। এতে সন্দেহ হয় সেলিম শেখের। তিনি পাসপোর্ট অফিসের বায়ো রুমে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আতিকুর রহমানকে বিষয়টি জানান। তিনিও ওই নারীর সঙ্গে কথা বললে ভাষার গড়মিল দেখতে পান।
বিষয়টি আতিকুর রহমানের সন্দেহ হলে তিনি তাকে নিয়ে সহকারী পরিচালক নাজমুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান। পরে নাজমুল ইসলাম পুলিশকে খবর দিলে ওই নারীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ওই নারী শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার একটি ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদনপত্র নিয়ে এসেছেন। তার জন্মনিবন্ধনটি মৌলভীবাজার থেকে নিবন্ধিত। তাকে প্রশ্ন করা হলে উর্দু ও বাংলা মিশ্রিত ভাষায় কথা বলছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা সন্দেহে এক নারীকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি পুরোপুরি বাংলায় কথা বলতে পারেন না। তাকে লিখতে দেওয়া হলে উর্দুতে কিছু কথা লিখে দিয়েছেন। আমরা ওই লেখার সূত্র ধরে বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’