ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

কক্সবাজার টেকনাফ ১০০০০০ পিস ইয়াবাসহ মহিলা মাদক কারবারী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৭:৫২ বিকাল  

ছবি সংগৃহীত

র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র‌্যাব-১৫ প্রতিনিয়তই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
 
এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ডের লেজিরপাড়া এলাকার জনৈক মৃত অলি আহমদ এর বসত ঘরের ভিতর কতিপয় মাদক কারবারী মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ১৯.৪০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘর থেকে বের হয়ে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মহিলা মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব এবং অপর এক মাদক কারবারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি উল্লেখিত বাড়ীটি তাদের নিজেদের বলে জানায় ও উক্ত বসত ঘরের খাটের নিচে সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত মহিলার দেহ ও বসতঘর তল্লাশী করে খাটের নিচে থাকা সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে সর্বমোট ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
 
May be an image of text that says 'ইয়াবা'
ছবি সংগৃহীত
 
গ্রেফতারকৃত মহিলা মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় রুজিনা আক্তার (৩০), স্বামী-হাফিজ উল্লাহ, পিতা-মৃত অলি আহমদ, মাতা-হালেমা খাতুন, সাং-লেজিরপাড়া, ০৫নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে এবং পলাতক মাদক কারবারী সম্পর্কে ভাই-বোন। তারা বেশ কিছু দিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানাবিধ অভিনব পন্থায় কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা চালান সরবরাহ/বিক্রয় করে আসছে। মাদকদ্রব্য ইয়াবা পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজের হেফাজতে বসত ঘরে মজুদ করে এবং পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবার চালান স্থানীয় এলাকায় বিক্রয়ের পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়।
 
উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।