মুন্সীগঞ্জে ট্রলার ডুবি ॥ মেঘনা থেকে শিশুসহ আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত: অক্টোবর ০৮, ২০২৩, ০৯:৩৯ রাত
ছবি সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মেঘনা নদীতে নিখোঁজ শিশুসহ আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।তারা হচ্ছে- জান্নাতুল সাবিহা (৮), জান্নাতুল মাওয়া (৬) ও সাব্বির হোসেন (৩৬)।
এর আগে শনিবার সুমনা আক্তারের (২৬) লাশ উদ্ধার করা হয়। জান্নাতুল মাওয়া নিহত সুমনার বড় মেয়ে। সাবিহা নিহত সুমনার ভাসুরকন্যা। আর সাব্বির হোসেন নিহত সুমনার ভগ্নিপতি। এই নিয়ে দুর্ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হলো। তবে এখনো সাব্বিরের পুত্র ইমাদ হোসেন (২), সুমনার ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৪) নিখোঁজ রয়েছে।
জানাগেছে, জেলার গজারিয়া সীমান্তবর্তী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের চর কিশোরগঞ্জের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাল্কহেটের ধাক্কায় মেঘনায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ জান্নাতুল সাবিহার (৮) মরদেহ দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকা থেকে সকাল ৭টায়, বেলা ১০ টায় প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরের মুন্সীগঞ্জের চরঝাপটা কাছ থেকে সাব্বির হোসেন (৩৬) এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় দুর্ঘটনাস্থলের ৪শ’ মিটার দূরে মুন্সীগঞ্জের চর রমজানবেগের কাছ থেকে নিখোঁজ জান্নাতুল মাওয়ার (৬) ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম জানান, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস,কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর ডুবরী ও নৌ-পুলিশ নিখোঁজ তিন শিশুর সন্ধানে তৃতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করছে। তবে এখনো দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার সনাক্ত এবং ঘাতক বাল্কহেট জব্দ করতে পারেনি। পরিবারের অনেক আতœীয়-স্বজন ট্রলার নিয়ে মেঘনা চষে বেড়াচ্ছেন।
গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের একটি পরিবারের ১১ সদস্য দৌলতপুর থেকে ট্রলার নিয়ে ঘুরতে বের হয়। ফেরার পথে ট্রলারটি বাল্কহেটের ধাক্কায় মেঘনা নদীতে ডুবে যায়।এতে চালকসহ ৬জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হয় একই পরিবারের ৬ জন।