কক্সবাজারে ২২,২০০ পিস ইয়াবাসহ একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ০৮, ২০২৩, ১০:০৯ রাত
ছবি সংগৃহীত
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, কক্সবাজার সব সময় অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব শিকদারপাড়া এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় অথবা অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ০৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৪.৩৫ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ২২,২০০ (বাইশ হাজার দুইশত) পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ছবি সংগৃহীত
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় মোঃ কামাল (২৫), পিতা-মফিজ আলম, মাতা-সেনোয়ারা বেগম, সাং-কম্বনিয়াপাড়া, ওয়ার্ড নং-০৯, ইউনিয়ন-হোয়াইক্যং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। এছাড়াও ধৃত ব্যক্তি তার সাথে থাকা অন্যান্য দুইজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তারা র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক আসামীরা বেশ কিছু দিন ধরে পরস্পর যোগসাজসে মাদকদ্রব্য ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। মাদক কারবারীরা মাদকদ্রব্য অবৈধ পথে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে প্রতিনিয়ত অভিনব কায়দায় অবলম্বন করে টেকনাফসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।