ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

নিজেকে ইহুদি দাবি করে ইসরায়েলের নাগরিকত্ব চাইলেন তমিজী

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ১০:১৩ রাত  

ছবি সংগৃহীত

হক গ্রুপের চেয়ারম্যান আদম তমিজী হক এবার নিজেকে ইহুদি দাবি করেছেন। ইসরায়েলের নাগরিকত্ব পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তমিজী বলেন, ইহুদি হিসেবে নাগরিকত্ব দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে যাক ইসরায়েল।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে তমিজী হক এসব কথা বলেন।

ফেসবুকে লাইভে তিনি বলেন, আমার নাম আদম। আমার জন্ম ব্রিটেনে। আমার মা একজন অর্ধেক ইহুদি। ইহুদি হিসেবে নাগরিকত্ব দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে যাক ইসরায়েল।

এ সময় ইসরায়েলের কাছে একপ্রকার নালিশ জানিয়ে ক্ষুব্ধ তমিজী বলেন, আমি ইসরায়েলের কাছে অভিযোগ জানাতে চাই। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে। তিন দিন ধরে আমার বাসার পানি ও বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ঘরে খাবারও নেই, স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। দ্রুত আমাদের উদ্ধার করা দরকার।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে আদম তমিজীকে গ্রেপ্তার করতে তার গুলশানের বাসা ঘিরে রেখেছিল র‍্যাব। কিন্তু তিনি আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ায় গ্রেপ্তার না করেই ফিরে এসেছিল র‍্যাব সদস্যরা।

এ বিষয়ে খন্দকার আল মঈন জানান, আদম তমিজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাকে একটু সময় লাগলেও আইনের আওতায় আনা হবে। তাকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দারাও কাজ করছে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, অভিযানের সময়ে তমিজী হক বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান। আমরা সব নিয়ম মেনে তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করি; কিন্তু তিনি নিজে ছুরি হাতে আত্মহত্যার হুমকি দেন, বাসায় জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলেন, ভবন থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি দেন। এরপরও যখন আটক করতে যাই, তখন তিনি স্ত্রীকেও ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। এমনকি কেউ যেন বাসা থেকে বের না হতে পারে, এজন্য বাসার প্রধান ফটক ঝালাই করেন। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাকে গ্রেপ্তার করিনি। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। পাশাপাশি তার বাসায় সার্চের ওয়ারেন্ট রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে আদম তমিজী ফেসবুকে লাইভে এসে অভিযোগ করেন, গাজীপুরের একজন প্রতিমন্ত্রী তার ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছেন, তাকে তার ব্যবসার সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য করছেন। এ ছাড়া ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি নিজের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে নানান অবমাননাকর মন্তব্য করেন তিনি। এর ফলে তাকে আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।