ঝালকাঠি জেলায় নার্স কোপানো মামলার প্রধান আসামী র্যাব-৮ কর্তৃক গ্রেফতার
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ০১:২৯ দুপুর
র্যাব-৮, সিপিএসসি, বরিশাল একটি বিশেষ আভিযানিক দল মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৮ঃ১০ ঘটিকার সময় ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানাধীন নলছিটি বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে "নার্স কোপানো, শ্লীলতাহানি ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুত্বর জখম’ মামলার একমাত্র পলাতক প্রধান আসামী ১। মোঃ আরিফ সিকদার (২৭), পিতা- মোঃ ইসরাফিল সিকদার, মাতা- মোছাঃ মিনারা বেগম, সাং- উত্তর কেস্তাকাটিয়া আবাসন, পোষ্টঃ ঝালকাঠি, থানা- ঝালকাঠি সদর, জেলা-ঝালকাঠি‘কে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, ভিকটিম সাজিয়া বেগম (৩৮) ঝালকঠি সদর হাসপাতালে সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সরকারী কোয়াটার্সে স্বপরিবারে বসবাস করেন। গত ২২/০৮/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৫:৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম বাসা হতে বের হয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের বাউন্ডারির ভিতরে হাটতে থাকা অবস্থায় হাসপাতালের গাড়ীর গ্যারেজের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপরে পৌছালে একই তারিখ সকাল অনুমান ০৫:৪৫ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা একজন আসামী গামছা দিয়ে মুখ বাধা অবস্থায় পথ রোধ করে ভিকটিমকে একা পেয়ে খারাপ আচারণ করতে থাকে। এসময় অজ্ঞাতনামা আসামীকে বাধা দিলে আসামীর হাতে থাকা ধারালো চাকু বের করিয়া ভিকটিমকে খুনের ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের পরিহিত কাপড় চোপর টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। ভিকটিম তাহার খারাপ ব্যবহারের প্রতিবাদ করলে অজ্ঞাতনামা আসামী তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী কোপ মারিলে ভিকটিমের বুকে এবং ডান হাতে কাটা গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। এক পর্যায়ে ভিকটিমের ডাক চিৎকারে অজ্ঞাতনামা আসামী হাসপাতালের বাউন্ডারি লাফিয়ে চলে যায়। আহত অবস্থায় ভিকটিম হাসাপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন। উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিম সাজমিন জাহান (৩৮), স্বামী-মোঃ রেজাউল হাসান, সাং-চামটা, সাং-ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল এর সরকারী কোয়ার্টার্স, থানা ও জেলা- ঝালকাঠি বাদী হয়ে ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি থানায় ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৫০৬ ধারায় পেনাল কোড আইনে একটি এজাহার দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫ তারিখ: ২২ আগস্ট ২০২৩ ইং।
উল্লেখিত ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি ব্যাপকভাবে টিভি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আসামী ঘটনার পর আত্বগোপনে চলে যায়। উক্ত ঘটনার পর র্যাব-৮, বরিশাল ছায়া তদন্ত শুরু করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার সিসিটিভি ক্যামেরা বিশ্লেষন করে উক্ত আসামীকে সনাক্ত করে আসামী গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৮, বরিশালে একটি আধিযাচন পত্র প্রেরণ করেন। এমতাবস্থায় র্যাব-৮, সিপিএসসি, বরিশাল কর্তৃক ছায়াতদন্ত করে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানাধীন নলছিটি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উল্লেখিত গ্রেফতারকৃত আসামী’কে ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়