ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঘরোয়া কিছু খাবারেই দৌড়ে পালাবে বিরক্তিকর খুসখুসে কাশি

নিউজ ডেক্স

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০১, ২০২৩, ০২:১০ দুপুর  

ছবি সংগৃহিত

হঠাৎ করেই বদলে গেছে আবহাওয়া। বিদায় নিয়েছে প্যাঁচপ্যাঁচে গরম। তার পরিবর্তে জায়গা করে নিচ্ছে হিমেল হাওয়া। ঋতু এমন পরিবর্তনের সময়ই ইনফ্লুয়েঞ্জা ও প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ে। যার খপ্পরে পড়ে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় ভুগতে থাকেন অনেকেই।

এর মধ্যে কারও কারও আবার ভাইরাল জ্বর সেরে যাওয়ার পরও কাশি কমছে না। দিনের পর দিন খুসখুস করে কেশেই চলেছেন তারা। তাদের জন্য ভালো খবর হলো, ঘরোয়া কিছু খাবার খেয়েই বিরক্তিকর এই খুসখুসে কাশিকে বিদায় করা সম্ভব। চলুন জেনে নিই সেসব খাবার সম্পর্কে।

​মধু খেতে ভুলবেন না​

আদি যুগ থেকেই কাশি কমানোর জন্য মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। এতে রয়েছে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান, যা কাশির প্রকোপ কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি ইমিউনিটিকে চাঙ্গা করার কাজেও মধুর জুড়ি মেলা ভার।

তাই খুসখুসে কাশির মতো বিদঘুটে সমস্যার ফাঁদ কেটে বেরিয়ে আসতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত এক চামচ মধু খান। এতেই কিন্তু উপকার পাবেন হাতেনাতে। তবে ডায়াবেটিসে ভুক্তভোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মধু খাবেন না। নইলে বড়সড় বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে।

​আদার জুড়ি মেলা ভার​

আদায় রয়েছে কিছু অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা খুসখুসে কাশি কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি অ্যাজমাটিক কাফ বা অ্যাজমাজনিত কাশির প্রকোপ কমানোর কাজেও জুড়ি নেই। তাই যারা অনবরত কেশেই চলেছেন, তারা এক টুকরো আদা কুচি চিবিয়ে বা পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিন। তাতেই কেল্লাফতে।

স্যুপ হলো মহৌষধ

খুসখুসে কাশির ফাঁদ কাটিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে চাইলে নিয়মিত চিকেন বা ভেজিটেবল স্যুপ খেতেই হবে। কারণ, যেকোনো গরম পানীয়ই কাশির প্রকোপ কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।

শুধু তাই নয়, এসব স্যুপ হলো ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত চিকেন ও ভেজিটেবল স্যুপ খেলেই যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য! এমনকি দ্রুত চাঙ্গা হবে শরীর। তাই আপনার প্রতিদিনকার পাতে এসব স্যুপকে জায়গা করে দিতেই পারেন।

স্টিম বা ভাপ নিন​

একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন। এবার একটা তোয়ালে মাথার উপর থেকে জড়িয়ে পানির ভাপ নাক-মুখ দিয়ে টানতে থাকুন। এভাবে মিনিট দশেক ভেপার নিলেই উপকার পাবেন। এমনকি চটজলদি দূর হবে কাশি। ​তবে ভাপ নেওয়ার পর অবশ্যই এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে হবে। তাহলেই ঠান্ডা হবে শরীর। দেহে পানির ঘাটতিও হবে না।

গার্গেল করলেই সমস্যা মিটবে​

গলা ব্যথার পাশাপাশি খুসখুসে কাশি কমানোর কাজে কিন্তু আপনার ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে লবণ-পানির গার্গল। এক্ষেত্রে এক গ্লাস পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর পানি সহনযোগ্য অবস্থায় আসলে তাতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন। তাহলেই আর কেশে কেশে দিন কাটাতে হবে না।

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন