বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ
যাত্রী সংকটে ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস
প্রকাশিত: নভেম্বর ০৯, ২০২৩, ১১:৩৫ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী চলছে বিএনপির ডাকা অবরোধ। বিএনপির ডাকা এই অবরোধ বাস মালিকরা গাড়ি চালাতে চাইলেও যাত্রী সংকটে তা সম্ভব হচ্ছে না। রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঘুরে এবং বাস কাউন্টারের কর্মচারীদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
বিএনপির ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধের দ্বিতীয় দিন সকালে ফাঁকা দেখা গেছে গাবতলী বাস টার্মিনাল। বাস কাউন্টার খোলা থাকলেও যাত্রী নেই।
তবে রাজধানীতে চলাচল করা বাসের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। আবার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াগামী সেলফি পরিবহনের সংখ্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে অবরোধ না থাকায় আজ রাত থেকেই দূরপাল্লার বাস চলাচলের প্রস্তুতি নিচ্ছে গাবতলীর বাস কাউন্টারগুলো।
ডেকে ডেকেও কোনো যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার ও বাস মালিকদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা গাড়ি চালানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু তীব্র যাত্রী সংকটে তা হচ্ছে না।
হানিফ পরিবহনের কর্মচারী সাইদুর
আরও পড়ুন: ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সাকুরা পরিবহনে আগুন
দর্শনা ডিলাক্সের কাউন্টার ম্যানেজার লতিফ বলেন, বাস মালিক সমিতির মালিকরা বাস চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে। পুলিশ ও র্যাবও নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছে। এজন্য আমাদের মালিকরাও বাস চালাতে সবসময়ই প্রস্তুত। কিন্তু যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা কাউন্টার খুলে বসে আছি, অথচ একটা যাত্রীও পাচ্ছি না। যাত্রী না পেলে তো আমাদের কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, একটা হিসাব দেখাই আপনাকে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে আমাদের বাস ছেড়ে আসে। একটি বাস দর্শনা থেকে ঢাকায় এসে আবার ফিরে যেতে মোট ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়। সেক্ষেত্রে আসা-যাওয়ায় ৬০ জন যাত্রী হলেও মালিকের খরচটা উঠে আসে। এখন খরচই যদি না ওঠে তাহলে কেন গাড়ি চালাব?
হানিফ পরিবহনের সামনে যেতেই কাউন্টারে থাকা সাইদুর নামের এক কর্মচারী বলেন, কোথায় যাবেন? গাড়ি চলছে, গেলে বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ বা গতকাল কোনো গাড়ি গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে আজ রাত থেকে ছাড়বে। কারণ, ডেকে ডেকেও কোনো যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার ও বাস মালিকদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা গাড়ি চালানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু তীব্র যাত্রী সংকটে তা হচ্ছে না।
সেলফি পরিবহনের একজন কর্মচারী বলেন, আমরা কিছু গাড়ি নিয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত এই রুটে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আগের মতো এখন আর যাত্রী পাওয়া যায় না। একটা গাড়ি পরিপূর্ণ করতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তারপরও এই রুটে পুলিশ ও র্যাবের নিরাপত্তা বেশি থাকায় আমরা কিছুটা হলেও নিরাপদে গাড়ি চালাই।