ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভারতীয় পরিচয়ে বিহারের তরুণীর সঙ্গে প্রেম-বিয়ে, যেভাবে ফেঁসে গেলেন ঢাকার ২ যুবক

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ০১:৪১ রাত  

জাল কাগজপত্র তৈরি করে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন দুই বাংলাদেশি যুবক। তাদের মধ্যে রিপন মোর্শ্বেদ আলী নামে বিহারের এক তরুণীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়। ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে বিহারে যান রিপন। চার মাস আগে বিহারের পাটনার কাছে একটি গ্রামে ছোট অনুষ্ঠানে ২০ বছরের ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় ২৯ বছর বয়সী রিপনের।

রিপন বা বিলালের বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার বিষয়টি তখনও জানতেন না ওই তরুণী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইয়ের পুলিশ ওই দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ, বসবাস এবং জাল নথি রাখার দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর ফ্রি প্রেস জার্নাল।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত দুজন পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাল নথি ব্যবহার করে অনুপ্রেবশ ও অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গত সোমবার গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাইয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভিক্রোলি থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, তারা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে বসবাস করছিলেন।

এমনকি অভিযুক্তদের একজন দেশটির বিহার রাজ্যের এক নারীকে বিয়েও করেন। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে ওই নারীকে বিয়ে করেন অভিযুক্তদের একজন।

ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, ভিক্রোলি পুলিশের অ্যান্টি-টেরোরিস্ট সেল (এটিসি) দুই অভিযুক্তের বিষয়ে গোপন তথ্য পেয়ে অভিযান শুরু করে এবং দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ওই দুই নাগরিকের নাম রিপন মোর্শেদ আলী (২৯) এবং বিলাল মুস্তাক হুসেন (৩২)।

তার দুজনেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা এবং ভারতে পাড়ি জমানের পর মুম্বাই শহরের ভিক্রোলি পূর্বের ঠাকুর নগরের বস্তিতে বসবাস করছিলেন। এটিসি প্রধান এপিআই প্রকাশ ইঙ্গলের নেতৃত্বে ব্যাপক তল্লাশি অভিযানের পরে দুই অভিযুক্তকে তাদের ঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিলাল প্রায়ই পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করলেও রিপন কাজের প্রয়োজনে শহরেই থাকত।

ইঙ্গেল জানিয়েছেন, তারা এখন রিপনের স্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যদেরসহ অভিযুক্ত ও জড়িত সব পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, পাসপোর্ট (ভারতে অনুপ্রবেশ) এবং ফরেনার্স অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর দুজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।