হিটলার - যে নামে কেঁপেছিল বিশ্ব
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৫:০৭ সকাল
বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম সেরা খলনায়ক ও ফ্যাসিবাদের জনক ছিলেন অ্যাডলফ হিটলার । যার পুরো নাম অ্যাডলফ হিটলার। জার্মানিদের কাছে তিনি মহানায়ক হলেও। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করা হয়। তার ইহুদি দমন উদ্যোগের জন্য তিনি একই সঙ্গে নিন্দিত ও নন্দিত।
সম্পর্কে এখনো রয়েছে অনেক ধোয়াসা। তাকে নিয়ে কারো মধ্যে রয়েছে অস্পষ্ট ধারণা, আবার কারো রয়েছে জানার প্রবল আগ্রহ। তার এমন কিছু বিষয় আছে, যা জানলে যে কেউই অবাক হয়ে যাবেন। হিটলারের ক্ষেত্রে এমন অজানা বিষয় জানার আগ্রহ মানুষের চিরকালই থাকবে।
তাহলে চলুন জেনে নিই তার সম্পর্কে অবাক কিছু তথ্য-
ইহুদি তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন হিটলার:
হিটলার নাকি ইহুদি বিদ্বেষী ছিলেন, কিন্তু অবাক বিষয় হল সেই হিটলারই স্কুলে পড়ার সময় এক ইহুদি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। তার নাম ছিল স্টেফানি ইসাক। যদি মেয়েটিকে কখনো কিছু বলেননি। তবে ইসাককে দেখলেই তিনি দারুণ লজ্জাবোধ করতেন।
ইহুদীবিরোধী মতবাদী হিটলার:
এটা এখনো নিশ্চিত নয় যে কিভাবে হিটলার ইহুদীবিরোধী মতবাদী হয়ে যান তবে অনেকে মনে করেন এটা তার দাদার থেকে (তার দাদা কি ইহুদী ছিল?) আবার অনেকে মনে করেন হিটলারের মা এর যখন মৃত্যু হয় তখন তিনি এক ইহুদী ডাক্তারের অধীনে ছিলেন যে হিটলারের মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আবার অনেকের ধারণা ভিয়েনায় হিটলারের জীবনকালে তিনি এই মতবাদ বিশ্বাসী হন।
গাড়ি চালানো জানতেন না হিটলার::
হিটলার কখনো ড্রাইভিং শেখেননি। চেষ্টাও করেননি। অনেকের ধারণা, তার মনে এক ধরনের ভয় কাজ করত। নিজের মানুষের সামনে যদি গাড়ি চালনায় দক্ষ না হতে পারেন, তবে তা সম্মানহানিকর। তবে নিজের বিশাল সেনাবাহিনীকে ব্যক্তিগত চালকের মাধ্যমে গাড়ি চালিয়েই নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ধর্মযাজক হতে চেয়েছিলেন হিটলার :
মাত্র ৪ বছর বয়সে সেই ইচ্ছাই দেখা দিয়েছিল হিটলারের মনে। এক শীতে সেই বয়সে একটি লেকে পড়ে যান তিনি। তাকে উদ্ধার করেন এক ধর্মযাজক। ঘটনাটি তার মনকে আলোড়িত করে। মনের কৃতজ্ঞতা আর ভালোলাগা থেকেই তিনি বড় হয়ে ধর্মযাজক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
ধূমপানবিরোধী:
তরুণ বয়সে ব্যাপক ধূমপান করলেও একপর্যায়ে তিনি এর বিরোধী হয়ে ওঠেন। সিগারেটের পেছনে অর্থের অপচয় হয় বলেই মনে করতেন। গণপরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধকরণে অ্যান্টি-স্মোকিং ক্যাম্পেইনও করেছেন তিনি।
একটি অণ্ডকোষ:
অনেকেই এ কথা বলে গেছেন যে, হিটলার উর্বরতাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি যুদ্ধরত অবস্থায় আঘাত পেয়েছিলেন। সার্জারিতে চিকিৎসক তার একটি অণ্ডকোষ বের করে ফেলেন। তার জীবন বাঁচাতেই এ কাজটি করতে হয়। ১৯১৬ সালে ব্যাটল অব সোমি-তে এমন ঘটনা ঘটেছিল।
কৈশোরে চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন হিটলার
কৈশোরে হিটলার একজন চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন। তিনি দুইবার ভিয়েনা আর্ট একাডেমিতে চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু একবারও তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি।
হিটলারের বানানো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প
ইহুদীদের নির্যাতন করে মারার জন্য হিটলারর নাৎসি বাহিনী তৈরি করেছিল কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। তবে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, হিটলার তার জীবনে কখনোই এসব কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প নিজের চোখে দেখেনই নি!
যৌনজীবন নিয়ে বিতর্ক
আডলফ হিটলারের যৌনজীবন নিয়ে দীর্ঘদিন ইতিহাসবিদ এবং পন্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। পুরো জীবনে কিছু সংখ্যক মেয়ের সাথে তার রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল এবং একই সাথে সমকামিতার প্রতি তার বিদ্বেষ দেখা গেছে। তিনি সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন, এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তার নাম অনেক মেয়ের সাথেই যুক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যা করেছে। অন্যান্য ঘটনার মধ্যে আছে, একজন আত্মহত্যা চেষ্টার ৮ বছর পর মারা গিয়েছিল এবং আরেকজন একটি ব্যর্থ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। যদিও এসব বিষয়ে জোরালো প্রমাণ নেই।
মৃত্যুর চল্লিশ ঘণ্টা আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ
১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। তবে মৃত্যুর মাত্র চল্লিশ ঘণ্টা আগে প্রেমিকা ইভা ব্রাউনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।